গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রথমবার দেশের শাসন ব্যবস্থায় সরাসরি অংশগ্রহনের সুযোগ হয়েছিল আমার। হ্যাঁ, আমি প্রথমবার ভোটার হয়েছিলাম। আমি ২৯ নং ওয়ার্ড থেকে ভোটার হয়েছিলাম। আমার ভোটার ক্রমিক নং ছিল "১৩৬৫" এবং আমার ভোটকেন্দ্র ছিল "খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা"। কিন্তু আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি নাই। দুপুর ২টা ১৫মিনিট এবং দুপুর ৩টা ২০মিনিটে দুই দুই বার কেন্দ্রে গিয়েও আমি আমার ভোট দিতে পারি নাই। দুপুর ২টা ১৫মিনিটে আমি যখন প্রথমবার কেন্দ্রে যাই, আমাকে বলা হয় কেন্দ্রের ব্যালট পেপার নাকি শেষ হয়ে গেছে এবং আমাকে ১ ঘন্টা পর আসতে বলা হয়। প্রথমবার ভোটার হওয়ার কারণে আগ্রহ বেশী থাকায় আমি দুপুর ৩টা ২০মিনিটে আবারও কেন্দ্রে যাই এবং আমাকে বলা হয় সবাই নাকি দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রামে আছে এবং ব্যালট পেপার নাকি এখনও আসে নাই। অথচ নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনোপ্রকার বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ হবে। "খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা" খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। নির্বাচন শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবেই তো জানা ছিল কেন্দ্রের ভোটার কতজন। ভোট গ্রহনের মাঝখানে ব্যালট শেষ হওয়াটা হাস্যকর। আর যেখানে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনোপ্রকার বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ হবে সেখানে ৩টা ২০মিনিটে কিভাবে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিশ্রামে যায় এবং একজন ভোটার ভোট দিতে পারে না। কর্তৃপক্ষের এই অবহেলা আসলেই লজ্জাজনক!
Recent Update
Trending Tags